ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি
বৈষম্যবিরোদী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মুখে সোমবার (৫আগষ্ট) প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। এরপর থেকে ধামরাই উপজেলা, থানা, পৌরসভার, ধামরাই প্রেসক্লাব ও রাস্তা বিভিন্ন জায়গায় স্থাপনায় হামলা করে অগ্নিসংযোগসহ নাশকতার ঘটনা ঘটে। এই পরিস্থিতির কারণে উপজেলা ও থানা থেকে কর্মকর্তা ও পুলিশসহ সংশ্লিষ্টরা চলেগেছেন।
এরপর থেকে ঢাকার ধামরাইয়ে (৭আগষ্ট) বেলা দুইটার দিকে আনসার বাহিনীকে সুরক্ষার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আনসার বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে সেই ধ্বংসাত্মক পরিস্কার করছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র-ছাত্রীরাসহ বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংগঠনের লোকজন। তারা ধ্বংসাত্মক মালামাল পরিস্কার করে বিভিন্ন মালামল আনসার বাহিনীর কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন এর কাছে বুঝিয়ে দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আনসার বাহিনীর এই কর্মকর্তা বলেন, থানার সুরক্ষার জন্য আমাদের অস্থায়ীভাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমাদের সাথে ধামরাইয়ের বিভিন্ন স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা আমাদের সহযোগীতা করছেন।
এই বিষয়ে ধামরাই সরকারী কলেজের অনার্স এর চতুর্থ বর্ষের ছাত্র মোঃ উজ্জল হোসেন বলেন, আমাদের নৈতিক দায়িত্ব থেকে পুলিশসহ উপজেলার সকল কর্মকর্তাদের সহযোগিতা করে যাচ্ছি। আমরা ধ্বংসাত্মক মালামাল পরিস্কার করে বিভিন্ন মালামাল দায়িত্বরত আনসার বাহিনীর কর্মকর্তার কাছে বুঝিয়ে দিয়েছি। আমরা দেশবাসির কাছে অনুরোধ করছি আপনারা কেউ ধ্বংসাত্মক কাজে লিপ্ত হবেন না।
এই বিষয়ে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যারয়ের ছাত্র ইয়াজ আহম্মেদ স্বাধীন বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আমাদের অনেক ভাইয়ের রক্তের বিনিময়ে জয় পেয়েছি। আমাদের এই জয়কে কেউ যেন নস্যাৎ করতে না পারে সেই জন্য সকলকে সজাগ থাকতে হবে। আমাদের দেশের সম্পদ আর কেউ নষ্ট করবেন না। কারণ এই গুলি আমাদের টেক্স এর টাকায় কেনা। তাই আমার অনুরোধ আর যেন কেউ ধ্বংসাত্মক কাজ থেকে বিরত থাকেন।
এই বিষয়ে সচেতন নাগরিক সমাজ এর আহবায়ক মোঃ ইমরান হোসেন বলেন, আমরা আজ সকালে মাইকিং করেছি রাষ্ট্রের সম্পদ যেন আর ধ্বংস না হয়। যে কোন ধর্মের মানুষ যেন হামলার শিকার না হয়। দয়া করে আপনারা আর কোন ধ্বংসাত্মক কাজে লিপ্ত হবেন না। আমরা ছাত্রসমাজ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রস্তুত আছি। আমরা শান্তি চায়, আমরা ধ্বংস নৈরাজ্য চায় না।
এই বিষয়ে আনসার বাহীনির কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন বলেন, প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে আনসার বাহীনিরা থানার দায়িত্ব বুঝে নিবে। আমি আজ দুপুরে ধামরাই থানায় এসে দেখি এখানে বুঝে নেওয়ার মত কিছু নেই। তবে ছাত্র-জনতা থানার ধ্বংসাত্মক পরিস্কার করে আমাকে দুটি শর্টগান, একটি রিবারবাল, একটি এসএমজি অস্ত্র এবং ১৪হাজার টাকা ও কিছু স্বর্ণলংকার বুঝিয়ে দিয়েছে। আমরা এখন থানা পাহারা দিয়ে রাখবো। উর্ধতন কর্তৃপক্ষ এসে সিজারলিষ্ট করে বাকি কাজ করবেন।